পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়।পা কামড়ানোর কারণ ও প্রতিকার

এই অংশে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা এবং পা কামড়ানোর কারণ ও প্রতিকার তাছাড়া হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা এবং হাত কামড়ানোর কারণ ও প্রতিকার।
পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়।পা কামড়ানোর কারণ ও প্রতিকার
এই অংশের নিচে আমি বিস্তারিত আলোচনা করলাম আপনাদের সাথে আপনারা ভালো করে পড়ে নিন এবং জেনে নিন কিভাবে পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায় এবং হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায় সহ অন্যান্য পায়ের ব্যথা সংক্রান্ত তথ্য।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়

প্রথমে জেনে নেয়া যাক পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কেন হয়? মূলত পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা হয় অনেক রকম কারণে যেমন ব্যায়াম করা অতিরিক্ত হাটাহাটি করা লাফালাফি করা কিংবা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করার ফলে পায়ের মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে। তাছাড়াও খেলতে গিয়ে চোট পেলেও ব্যাথা হতে পারে।

পায়ের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলোঃ
  • ব্যথার অংশকে বিশ্রাম দিন।
  • ব্যথার অংশতে বরফ ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই মনে রাখবেন বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না কোন কাপড় বা গামছা দিয়ে বরফ লাগাবেন।
  • পায়ের ব্যথার অংশটি যদি অনেক পরিমাণে ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনি ব্যান্ডেজ করে রাখুন কিংবা কোন কাপড় দিয়ে আলতো করে বেধে রাখুন এর ফলে আরাম পাবেন।
  • পায়ের ব্যথা কমাতে ওষুধ সেবন করুন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যেমন ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • এবং ব্যথার অংশে প্রতিদিন আলতো করে মেসেজ করুন কারণ মেসেজ করলে পেশি শিথিল হতে পারে এবং ব্যথা কমতে পারে।
উপরের কার্যক্রম গুলো করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা।
আপনার যদি ডায়াবেটিকস কিংবা রক্ত জমাট বাধার কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে বরফ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুবই জরুরী। এবং ব্যথা যদি অনেক দিন যাবত দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার ব্যথা কমানোর কার্যকর গুলো অবলম্বন করুন। এবং মনে রাখবেন এই তথ্য সামান্য তথ্যগত উদ্দেশ্য। চিকিৎসার কারণে অবশ্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে।

পায়ের রগে ব্যাথার ঔষধ

পায়ের রগে ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, যেমন ভেরিকোজ ভেইন, ডায়াবেটিস, পেরিফেরাল আরো নানারকম কারণে হতে পারে। এবং আপনার ব্যাথা অনুযায়ী ডাক্তার নানা রকম প্রেসক্রিপশন তৈরি করতে পারে।

পায়ের রগে ব্যাথা কিছু সাধারণ ওষুধ আপনার সাথে শেয়ার করা হলোঃ
  • এসিটামিনোফেনঃ এটি আমাদের পায়ের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • ব্লাড থিনারঃ মাঝেমধ্যে রক্ত জমাট বাধার কারণে আমাদের পায়ের রগে ব্যাথা করে।তো ব্লাড থিনার এর মাধ্যমে রক্ত জমাট কমে যায় এবং রক্ত জমাট কমতে ও সাহায্য করে।
  • ভাসোডাইলেটরঃ এই ওষুধগুলি আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল করতে খুব ভালো সাহায্য করে এর ফলে পায়ের রগে ব্যথা কমে যেতে পারে।
  • এন্টিবায়োটিকঃ যদি ব্যথা অন্যরকমের হয় তাহলে ডক্টর এনটিভিটিকো প্রেসক্রিপশনে দিতে পারে।
মনে রাখবেনঃ এটি শুধুমাত্র আপনার ব্যথার উপর নির্ভর করবে ডাক্তার আপনাকে কোনটি দিবে। অবশ্যই আপনার পায়ের রগে ব্যাথার জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাকে যে ওষুধের কোর্সটি দিবে সেটি কমপ্লিট করবেন।

বাম হাতের মাংসপেশীতে ব্যথা - হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়

প্রথমে জেনে নেয়া যাক হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা কেন হয়? মূলত হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা হয় অনেক রকম কারণে যেমন ব্যায়াম করা কিংবা প্রচুর পরিমাণে পরিশ্রম করার ফলে হাতের মাংসপেশীতে ব্যথা হতে পারে। তাছাড়াও খেলতে গিয়ে চোট পেলেও ব্যাথা হতে পারে।

হাতের মাংসপেশিতে ব্যথা কমানোর উপায়ঘরোয়া টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলোঃ
  • ব্যথার অংশকে বিশ্রাম দিন।
  • ব্যথার অংশতে বরফ ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই মনে রাখবেন বরফ সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না কোন কাপড় বা গামছা দিয়ে বরফ লাগাবেন।
  • হাতের ব্যাথার অংশটি যদি অনেক পরিমাণে ব্যথা বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনি ব্যান্ডেজ করে রাখুন কিংবা কোন কাপড় দিয়ে আলতো করে বেধে রাখুন এর ফলে আরাম পাবেন।
  • হাতের ব্যাথা কমাতে ওষুধ সেবন করুন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যেমন ইবুপ্রোফেন বা অ্যাসিটামিনোফেন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • এবং ব্যথার অংশে প্রতিদিন আলতো করে মেসেজ করুন কারণ মেসেজ করলে পেশি শিথিল হতে পারে এবং ব্যথা কমতে পারে।
উপরের কার্যক্রম গুলো করার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা।
আপনার যদি ডায়াবেটিকস কিংবা রক্ত জমাট বাধার কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে বরফ ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খুবই জরুরী। এবং ব্যথা যদি অনেক দিন যাবত দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার ব্যথা কমানোর কার্যকর গুলো অবলম্বন করুন। এবং মনে রাখবেন এই তথ্য সামান্য তথ্যগত উদ্দেশ্য। চিকিৎসার কারণে অবশ্য আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে চলতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে।

শেষ কথাঃ আপনি যদি এই ধরনের আরও ডাক্তারী ইনফরমেটিভ তথ্য চান এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে নানা রকম তথ্য চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট রেগুলার ভিজিট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন