পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না

প্রিয় পাঠক বৃন্দাবন আপনারা যারা যারা পায়খানা সংক্রান্ত রোগে ভুগছেন পাতলা পায়খানা কিংবা পায়খানা হচ্ছে না পায়খানা ক্লিয়ার হচ্ছে না পায়খানার ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান পায়খানা জনিত যতরকম সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি
আজকে আমাদের এই ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মধ্যে। তো আপনি যদি একজন এই সকল সমস্যার রোগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আমাদের এই পোস্টটি ভাল করে পড়তে পারেন ফলে উপকৃত হবেন। এই অংশে আমি সকল বিষয়ে আলোচনা করব আপনি আপনার সমস্যা জনিত অংশ সূচিপত্র থেকে ক্লিক করে পড়ে ফেলতে পারেন।

পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি

আপনারা অনেকে জানতে চান পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি এবং পাতলা পায়খানা হলে আপনি কি করবেন না করবেন সেগুলো সম্পর্কে। তো আমাদের ওয়েবসাইটের এই অংশে আমি আলোচনা করব আপনাদের সাথে পাতলা পাতলা পায়খানা হলে করণীয় কি করবেন সেগুলো সম্পর্কে। নিচে বিস্তারিত আকারে দেয়া হলো পড়ুন।

পাতলা পায়খানা হলে করণীয় ১০টি ধাপ
আপনার পাতলা পায়খানা হলে আপনি অতিরিক্ত স্যালাইন খাওয়ার চেষ্টা করুন। বেশি বেশি পানি খান কারণ পাতলা পায়খানা শরীরের সকল পানি বের করে দেয়। এবং শরীরকে দুর্বল করে দেয়।আপনি যদি নিয়মিত পাতলা পায়খানা চলাকালীন স্যালাইন সেবন করেন তাহলে আপনার শরীরটা একটু আরাম পাবে।

আপনার অনেকে জানতে চান কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয়। এবং পেটকে আরাম দেয়া যায়। তো এই অংশে আপনি জানতে পারবেন কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে। নিচে বিস্তারিত আকারে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো দেখুন কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় সে সম্পর্কে।

কি খেলে পাতলা পায়খানা বন্ধ হয় দেখুন হালকা জাতীয় খাবার খান যেমন নিচে দেয়া হলঃ
ভাতের মাড়ঃ ভাতের মার খেতে পারেন কারণ ভাতের মাড় হালকা জাতীয় খাবার এটি আপনার পেটকে ভালো হবে রাখবে।

সবজি সুপঃ পাতলা পায়খানা হওয়ার সময় আমাদের শরীর থেকে অনেক পরিমান প্রোটিন এবং ক্যালোরি বেরিয়ে যাই। যেগুলো আমাদেরকে অনেক দুর্বল করে ফেলে। তবে আমরা জানি মানব দেহের জন্য সবজি কতটা পরিমাণ উপকারী এবং এর মধ্যে কত পরিমাণ ভিটামিন থাকে। তাছাড়া ও পেটকে রাখে আরামদায়ক। তো অবশ্যই আপনার পাতলা পায়খানা হলে আপনি সবজি সুপ জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

মসুর ডালের স্যুপঃ আমাদের স্কিনকে গ্লেস করার পাশাপাশি পেটকে ঠান্ডা রাখতে মসুর ডাল এর কোন বিকল্প নেই। তাছাড়াও মুসুর ডালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন যা আমাদের শরীরের দুর্বলতা কমাতে সক্ষম হয়। আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে আপনি মুসুর ডাল স্যুপ করে খেতে পারেন ফলে আপনার খিদেও মিটবে এবং পেটও ভালো থাকবে।

খিচুড়িঃ আপনি খিচুড়ি রান্না করে খেতে পারেন আপনার যখন পাতলা পায়খানা হবে। কারণ পাতলা পায়খানাতে আমরা সকলে দুর্বল হয়ে পড়ি এবং খিচুড়ি আপনার পেটকে রাখবে ঠান্ডা এবং খিচুড়িতে মুসুর ডাল ব্যবহার করা হয় সেই ফলে আপনি ভিটামিন ও পাবেন। পাতলা করে খিচুড়ি রান্না করে আপনি মজা করে খেতে পারবেন এবং আপনার পেটকেও সুরক্ষা করতে পারবেন।

পেঁপেও কলাঃ আপনার পাতলা পায়খানা হলে আপনি পেঁপে ও কলা খেতে পারেন। কারণ পেঁপে মানুষের পেটকে রাখে ঠান্ডা এবং কলাতে ভিটামিন এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে। যা আমাদের পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত থাকা অবস্থার দুর্বলতা কে কমাতে সক্ষম হয়। তাছাড়াও কলা পেটকে ভালো রাখে। পাকা কলা পেটের জন্য উপকারী পায়খানা ক্লিয়ার করতেও সাহায্য করে। তো আপনার পাতলা পায়খানা হলে আপনি পেঁপে ও কলা খেতে পারেন অনায়াসে।

কি খেলে পায়খানা হবে ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না 

ইতিমধ্যে আমরা জেনে ফেলেছি পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খেলে আমাদের শরীরের জন্য ভালো এবং আমাদের পেট আরাম পাবে। তো এই অংশে আপনারা জানতে চলেছেন কি খেলে পায়খানা হবে ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না। তো আপনি যদি জানতে চান কি খেলে পায়খানা হবে ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না তাহলে এই অংশটি আপনার জন্য। এই অংশে আমি আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব কি খেলে পায়খানা হবে ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে। নিচে দেয়া হলেও কি খেলে পায়খানা হবে ও পাতলা পায়খানা হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে না সে সম্পর্কে দেখুন। 

তৈলাক্ত খাবারঃআপনার যদি পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে একদম তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।কারণ তৈলাক্ত খাবার পেটের গরমকে বাড়িয়ে দেয় এবং পেট ঠান্ডা থাকতে দেয় না। এর ফলে তৈলাক্ত খাবার খেলে আপনার পাতলা পায়খানা আরো বেড়ে যেতে পারে এবং আপনার অনেক বড় সমস্যা হতে পারে তাহলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বড় কোন রোগের চিকিৎসা করতে হতে পারে। অবশ্যই এইসব মারাত্মক বিষয়গুলো নিয়ে আপনারা সচেতন থাকবেন পাতলা পায়খানা হওয়ার সময়।

মসলাদার খাবার:আপনার যদি পাতলা পায়খানা হয় আপনি মশলার খাবার থেকে বিরত থাকবেন।কারণ মগবাজার খাবার পেটের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে দেয় এবং এর ফলে আপনার পাতলা পায়খানা আরও হতে পারে এবং সাথে বমিও হতে পারে। তো অবশ্যই আপনি মসলা দার খাবার থেকে বিরত থাকবেন।

কফি:আপনার পাতলা পায়খানা হলে আপনি কফি থেকে বিরত থাকবেন কারণ কফি পেটের গরম বাড়িয়ে দেয় এরপর আপনার পাতলা পায়খানা আরো বেশি হতে পারে।

চিনি দেওয়া চাঃ অবশ্যই আপনি চিনি দেয়া চা থেকে বিরত থাকবেন কারণ চিনি দেয়া চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে গরম যা আপনার পেটের সমস্যা করতে পারে। এবং আপনার পেটের পাতলা পায়খানাকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।

তাছাড়াও যদি দুধ চা হয় তাহলে সেটি আপনার গ্যাসের প্রবলেম বাড়িয়ে দিতে পারে।এবং আপনার পাতলা পায়খানা আরও বেশি বেড়ে যেতে পারে। তো অবশ্যই আপনি এসব দিকগুলো মেনে চলবেন। এবং এর সাথে সাথে বাজারজাত ফলের রস কিংবা কোমল পানীয় থেকে বিরত থাকবেন। ফলে আপনার পেট ভালো থাকবে এবং পাতলা পায়খানা খুব তাড়াতাড়ি সুরক্ষা পাবে।

পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় ও পুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ

আপনারা অনেকে জানতে চান পায়খানার সাথে রক্ত পড়া বন্ধের উপায় সম্পর্কে। তো পায়খানার সাথে রক্ত পড়ার অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে যেমন আপনার আমাশার কারণ হতে পারে। শরীরে পানি শূন্যতার কারণে হতে পারে। কিংবা আপনি পানি কম খেলেও হতে পারে। দুই-তিন দিন পায়খানা না হওয়ার পরে যদি পায়খানা হয় সে ক্ষেত্রে হতে পারে। 

তো আপনি অবশ্যই এই বিষয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারন এটি খুব সতর্ক জনক বিষয়।ছোট থেকে বড় রোগের সৃষ্টি হয় আমরা সবাই জানি অবশ্যই আমরা কিছু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শটা নিয়ে ওষুধ সেবন করা বা পরবর্তী ধাপে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এবংপুরুষের পায়খানার সাথে রক্ত পড়া কিসের লক্ষণ এটিও আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন।মূলত সেটি তার অনেক রকম সমস্যা হতে পারে। সাধারণত আমাশার কারণে হয়। তাছাড়া ব্যক্তিগত কোন সমস্যা থাকলে সেটি সমাধানের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার জন্য অনিবার্য।

শেষ কথাঃ আজকে ওয়েবসাইটের এই অংশে আপনি যেগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন আপনি যদি এইরকমই। আরো ইনফরমেটিভ তথ্য আমাদের এই সাইটে পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইট আকুয়া বিডি রেগুলার ফলো করতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে তথ্যবহুল সম্পূর্ণ এবং ইউনিক ইউনিক ইনফরমেশন আপনাদের সাথে শেয়ার করে থাকি। যেগুলো পড়ে আপনার অনেক উপকৃত হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন